‘মমতা 3, বিষ 0’, উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করা এই শিরোনাম আপাতত বিতর্কে এনে দিয়েছে আজকাল পত্রিকাকে। বিজেপি আইনি ব্যবস্থার চিঠি দিয়েছে। মিডিয়ামহলে জোর জল্পনা। এদিকে জানা গেছে এই ‘বিষ’ শব্দটি প্রয়োগের জন্য খোদ সম্পাদক অশোক দাশগুপ্তও ক্ষুব্ধ। তিনি সেদিন কাগজ করার সময় ছিলেন না। হেডিং দেখেন নি। সম্পাদকীয় দপ্তরের একজন সিনিয়র এই ‘বিষ’ প্রয়োগ করেন। তবে সম্পাদক হিসেবে আইনি ঝামেলা পোহাতে হতে পারে অশোকবাবুকে। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি বলেছেন,” আমি বিজেপির বিরোধী। কিন্তু তাই বলে একটা স্বীকৃত বড় দলকে বিষ বলব কেন? এটি অমুকের ( নাম অজানাই থাক) করা।” অশোকবাবুর শরীরও ভালো নেই। সবরকম আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন। এদিকে আজকালেরই জনৈক দেবাশিস দত্ত ( ক্রীড়া সাংবাদিক নন। অন্য কেউ) তাঁর ফেস বুক পোস্টে বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বসে আছেন। বিষ শব্দটিকে এড়িয়ে তিনি প্রতিবাদকে গেরুয়া হুঙ্কারের পর্যায়ে ফেলে বিস্তারিত লিখেছেন কেন আজকাল এসবে ভয় পায় না এবং অতীতে আজকালের সঙ্গে লাগতে গিয়ে কোন সংগঠন উঠে গেছিল। বিষ নিয়ে প্রতিবাদকে হুমকি, কন্ঠরোধের তুলনায় নিয়ে গেছেন তিনি। তবে আজকালের সুস্থবুদ্ধিসম্পন্ন অংশ মনে করেন নতুন কোনো প্ররোচনা না দিয়ে বিষয়টি ঠান্ডা হতে দেওয়া উচিত। কারণ ‘বিষ’ শব্দটি প্রয়োগ এড়ানো যেত এবং এর সঙ্গে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই। একমাত্র কান্ডজ্ঞানহীন হলেই এর সমর্থনে পোস্ট করে শত্রুপক্ষকে আরও খুঁচিয়ে দেওয়া যায়। নিজেদের বিজেপিবিরোধী প্রমাণের জন্য এমন প্ররোচনামূলক কাজের দরকার পড়ে না। সূত্রের খবর, স্বয়ং অশোক দাশগুপ্ত বিষয়টি অত্যন্ত নমনীয়তার সঙ্গে সামলাচ্ছেন। এদিকে রাজ্য বিজেপি ঐ হেডিংসহ অনুবাদ দিল্লিতে পাঠিয়েছে। তাদের খবর, দিল্লি ‘বিষ’ শব্দটিতে মারাত্মক ক্ষুব্ধ। তারা নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপের কথা ভাবছে। রাজ্য বিজেপির একাংশ অবশ্য এনিয়ে বাড়াবাড়ি চায় না। এরা চায় আজকাল দুঃখপ্রকাশ করে মেটাক। কিন্তু দুঃখপ্রকাশ করাটা আজকালের উগ্র বিজেপিবিরোধী মুখোশের পক্ষে অস্বস্তিকর। তবে আইন বাঁচাতে কৌশলী পদক্ষেপের কথা আজকালও ভাবছে।