আর দাঁড়াতে হবে না টোল প্লাজায়। কারণ, এক অভিনব প্রযুক্তি আনতে চলেছে জাতীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রক। টোল প্লাজার সমস্ত রাস্তাকে ফাস্ট্যাগ লেনের তকমা দিতে চলেছে জাতীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রক। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে টোল প্লাজার সমস্ত রাস্তাকে ফাস্ট্যাগ লেন হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। টোল প্লাজাগুলিতে যানজট দূর করতে ও নগদহীন টাকা প্রদানের মাধ্যমে দেশব্যাপী বৈদ্যুতিন টোল সংগ্রহ পরিষেবা শুরু করতেই এই ফাস্ট্যাগ।
এবার জেনে নিন এই ফাস্ট্যাগ সম্পর্কে কিছু তথ্য।…
উইন্ড স্ক্রিনে থাকবে ফাস্ট্যাগ স্টিকার
গাড়ির উইন্ড স্ক্রিনে ফাস্ট্যাগ স্টিকার সাঁটা থাকলে সেটির কিউআর কোড স্ক্যান করে অনলাইনে টোল বাবদ টাকা কেটে নেওয়া হবে। ফলে নগদে লেনদেন হবে না। এর জেরে সময় বাঁচবে ও যানজট কমবে টোল প্লাজ়াগুলিতে। ফাস্ট্যাগ স্টিকারগুলি প্রিপেইড রিচার্জ করতে হবে গাড়ির মালিকদের। রিচার্জ করার ক্ষেত্রে ইউপিআই সুবিধা নেওয়া যাবে। গাড়ির মালিকরা ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাকও পেতে পারেন।
কতদিন মেয়াদ একটি ফাস্ট্যাগের?
একটি ফাস্ট্যাগের মেয়াদ পাঁচ বছর। প্রয়োজনমতো প্রিপেইড রিচার্জ করলেই অনলাইনে টোল দিতে পারবেন চালকরা। তবে মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের গাড়ির পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স ও দমকলের গাড়িগুলি এই ট্যাগের আওতার বাইরে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পুনর্নবীকরণ ্করতে হবে। পুনর্নবীকরণের সময়সীমা এক বছর।
কী করে করবেন রিচার্জ?
ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক দুই ধরনের গাড়িতেই এবার থেকে লাগাতে হবে এই ট্যাগ। অন্যথায় জরিমানা হবে। ফাস্ট্যাগের স্টিকারে থাকবে রেডিয়ো ফ্রিকুয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন টেকনোলজি। এর সঙ্গে যুক্ত প্রিপেইড অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি টোল কর দেওয়া যাবে। এর সাহায্যে খুব সহজেই অনলাইনে টাকা দিয়ে প্লাজাগুলি পেরোতে পারবেন সকলে। যদি ফাস্ট্যাগ সেভিংস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে ব্যালেন্স কমে যাওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে। একবার টোল পার হলে, গাড়ির মালিক টাকা কেটে নেওয়ার এসএমএস পাবেন।
কোথায় কিনতে পাবেন এই ফাস্ট্যাগ?
নয়া ব্যবস্থায় এনইটিসি-র আওতায় থাকা জাতীয় সড়কগুলিতে আরএফআইডি-নির্ভর ফাস্ট্যাগ মারফত টোল আদায় করা হবে। ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া অনলাইনে ফাস্ট্যাগ বিক্রির জন্য অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এছাড়া টোলপ্লাজাগুলিতেও বিক্রি করা হচ্ছে এই স্টিকার।
এই নয়া ব্যবস্থা মসৃণ ভাবে যাতে চালু করা যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। গাড়ির মালিকদের ফাস্ট্যাগ ব্যবহার করার জন্যও সচেতন এবং উত্সাহিত করা হচ্ছে। সুতরাং, এই ফাস্ট্যাগ জাতীয় সড়কে যাতায়াতের সুবিধা বাড়াবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।































































































































