শুক্রবার কলকাতার সংস্কৃত কলেজে খোঁজ মিলল প্রায় ২০০ বছরের পুরনো সিন্দুকের। আর সেখান থেকেই খোঁজ মিলল প্রচুর দুষ্প্রাপ্য নথির। জানা গিয়েছে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবাদের জন্য তহবিল তৈরি করেছিলেন। শুধু তাই নয়, খোঁজ মিলল রুপোর কয়েনেরও।
শুক্রবার সকালে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের গোডাউন থেকে সিন্দুকটি উদ্ধার করা হয়। গোডাউন পরিস্কার করতে গিয়ে সর্বপ্রথম উপাচার্যের চোখে পড়ে ওই সিন্দুকের উপস্থিতি। এরপরেই সিন্দুকটি দেখতে গোডাউনে ভিড় জমাতে শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীরা। পরে সিন্দুকটি উদ্ধার করে আনা হয় উপাচার্যের ঘরে। চার ঘন্টার চেষ্টায় সিন্দুকের তালা ভাঙা সম্ভব হয়।
জানা গিয়েছে, সিন্দুক থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু মূল্যবান নথি। পাওয়া গিয়েছে সাতটি বন্ধ খাম। এছাড়াও রয়েছে ব্রিটিশ শাসনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হাত ধরে তৈরি হওয়া বিধবা বিবাহের আইন সংক্রান্ত নথি, বিধবাদের জন্য তৈরি ফান্ডের নথি। ‘মুক্তোকেশি উইডো ফান্ড’ নামে বিধবা মহিলাদের জন্য একটি ফান্ড চালু করেছিলেন বিদ্যাসাগর। মোট আটজন মহিলা এই ফান্ড থেকে কিছু টাকা পেতেন। দু টাকা করে পেতেন ওই বিধবা মহিলারা, এমনটাই জানা গিয়েছে। পাওয়া গেছে বেশ কিছু; খামবন্দি ডকুমেন্ট, যেগুলোতে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সম্পত্তির হিসাব আছে বলেই জানাচ্ছেন উপাচার্য।শ্রী এ ভেঙ্কটরমন শাস্ত্রীর নামে ১৯৪৬ সালের ব্যাঙ্কের অর্থ জমার কাগজপত্রও উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে। এছাড়াও তিনটে রুপোর পদক উদ্ধার করা গিয়েছে। দুটি গঙ্গামণি দেবী রুপোর পদক ও একটি এ এন মুখার্জি রুপোর পদক পাওয়া গিয়েছে। সংস্কৃতিতে প্রথম স্থানাধিকারীকে সংস্কৃত ও প্রেসিডেন্সি কলেজ মিলে গঙ্গামণি দেবী রুপোর পদকে সম্মানিত করা হত। একটি ১৯১৯ এবং অন্যটি পদকটি ১৯৬৫ সালের পদক। এ এন মুখার্জি রুপোর পদকটি দেওয়া হত ইংরাজি ভাষার সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপককে। বাকি এনভেলপগুলি ভিসির অনুমতি নিয়ে খোলা হবে। এই সমস্ত নথির ঐতিহাসিক মূল্য ঠিক কতটা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। এছাড়াও মিলেছে মহামূল্যবান নানা নথি।