আইনি লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে সমস্যায় পরিষেবা। জমছে চিকিৎসা বর্জ্যের স্তূপ। আচমকা বদল হয়েছে সংস্থার ডিরেক্টর। এই প্রতিবাদে অপসারিতরা আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন। আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী জানান, ২৪ অগাস্ট সংস্থার ডিরেক্টর লক্ষ্মী তাঁতিয়া, বিনোদ অজিত সারিয়ার নাম সরিয়ে ডিরেক্টর হিসেবে ঢুকে রমাকান্ত বর্মণ ও অরুণোদয় অধিকারীর নাম ঢোকানো হয়েছে। বিনীতা বর্মণ রয়ে গিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে সল্টলেক ও শিলিগুড়ি পুলিশের সাইবার শাখায় লক্ষ্মী তাঁতিয়া ও বিনোদ অভিযোগ করেন। কোম্পানি ট্রাইবুনালে মামলা শুরু হয়। কিন্তু ফুলবাড়ির কারখানার থেকে যায় বিনোদদের দখলে। অভিযোগ, বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বর্জ্য তুলে ফুলবাড়িতে আনার পথে বর্জ্যভর্তি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এমনকী, নতুন ডিরেক্টরের ঘনিষ্ঠরা ফুলবাড়ির কারখানায় ঢুকে গোলমাল বাধাচ্ছে বলেও অভিযোগ। এরপর থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন কর্মীদের একাংশ। তবে, রমাকান্তের অভিযোগ, ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ফুলবাড়ির কারখানা দখলে রেখেছিল অন্য পক্ষ। এখন সেটি দেখভাল করছে ওই সংস্থা।
স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদিত ফুলবাড়ির ওই সংস্থা উত্তরবঙ্গের আটটি জেলা জুড়ে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার কাজ করে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের বর্জ্য তুলে ফুলবাড়ির কারখানায় নিয়ে গিয়ে নষ্ট বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হয়। সরকারি নিয়মে হাসপাতাল, নার্সিংহোম, পলিক্লিনিক, ডাক্তারদের চেম্বার- সব জায়গাতেই চিকিৎসা বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার জন্য লাইসেন্স নিতে হয়। কিন্তু এই আইনি টানাপোড়েনে থমতে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের ৮ জেলার চিকিৎসা বর্জ্য নষ্ট বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার প্রক্রিয়া। অভিযোগ, শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে সংস্থার কারখানায় জমছে বর্জ্যের স্তূপ। তবে, পরিষেবা নিয়ে তাদের কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে উত্তরবঙ্গ, কোচবিহার ও মালদহ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।





























































































































