তিন কেন্দ্রে ধরাশায়ী হওয়ার পর বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ স্পষ্টভাষায় জানালেন, উপনির্বাচনে সাধারণভাবে শাসকদলের পক্ষেই রায় হয় এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে এটাও ঠিক আমরা যা যা ভেবেছিলাম ঠিক তার উল্টো হয়েছে এতটা আশা করিনি। কার্যত বঙ্গ বিজেপির মুখ দিলীপ ঘোষ দিল্লিতে বসে হতাশার কথাই বললেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
ঘরের পিছনে যে ফ্যাক্টর গুলি দিলীপ ঘোষ বললেন তা হল–
১. নিশ্চিতভাবে এই ভোটে এনআরসি একটা ফ্যাক্টর হয়েছে। মানুষকে আরও বোঝাতে হবে।
২. আমাদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। ফলে মানুষ হয়তো ভেবেছেন বিজেপিকে জিতিয়ে লাভ নেই। কারণ, এলাকার কোনও কাজ হবে না। তাই হয়তো ভোট গিয়েছে সরকারি বাক্সে।
৩. এলাকায় এলাকায় প্রার্থী এ ক্ষেত্রে অন্যতম ফ্যাক্টর হয়েছে সেটাও একটা কারণ হতে পারে।
৪. ভোট লুঠ, রিগিং এবং সরকারি দলের ক্রমান্বয় হুমকি, এসবকেও কারণের বাইরে রাখলে ভুল হবে।
৫. অনেকে দলীয় কোন্দলের কথা বলছেন। আমি বলব আমাদের চাইতে তো তৃণমূলে সেটা বেশি। ওদের নেতাকে তো ঘর বন্ধ করে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
৬. লোকসভায় মোদি হাওয়া ছিল। এটা যেমন ঠিক তেমনি পাল্টা বিজেপির পালে হাওয়া তৈরিতে আমাদের খামতি ছিল।
তিন কেন্দ্রে পরাজয়ের পর এই পাঁচটি কারণকে সামনে আনলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সেই সঙ্গে বললেন, এটা কোনও বিষয় নয়। আমরা এখনও বুথ ভিত্তিক কমিটিগুলো সব করে উঠতে পারিনি। বিগত কয়েক মাস ধরে কাজ চলছিল। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তারপর পুর ভোটে দেখবেন আমরা বহু পুরসভা দখল করেছি।





























































































































