বাড়ির চাল উড়ে গেছে। ছাদ ভেঙে টানা জলে ভাসছে উঠোন। বাইরে টানা বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়া। আর স্কুল ঘরের মধ্যে ঠেসাঠেসি আর ঘেঁষাঘেঁষি করে অসংখ্য মাথা। আলো নেই, জলও নেই প্রায়। ঝড়ের প্রকোপ বাড়তেই দুমদাম আওয়াজ। আতঙ্কে কেঁপে উঠছে বৃদ্ধ-শিশুরা। সাগরদ্বীপ আর সুন্দরবনের ত্রাণশিবিরে ঠিক যেন একই চিত্র। সাগরদ্বীপের ধবলাহাট লাল্পুর স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন মানুষ। অধিকাংশই বয়স্ক। যত রায় বেড়েছে ততই ঘরহারাদের সংখ্যা বেড়েছে। রাত বারোটায় আশ্রয় নেওয়াদের সংখ্যা পৌঁছয় ৩০০তে। অন্যদিকে ঘোড়ামারা দ্বীপ থেকে মানুষকে সরিয়ে আনা হয় সন্ধ্যার সময় সাগরের স্কুল বাড়িতে। আলো নেই। কয়েক শো মানুষ ঠেসাঠেসি করে রয়েছেন। জ্বলছে শুধু হ্যারিকেন। সব জায়গায় পর্যাপ্ত খাবার নেই। সম্বল শুকনো মুড়ি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, বৃষ্টির জন্য রান্নার ব্যবস্থা করা যায়নি।
সাগরদ্বীপে উপকূলে ভেঙে স্থলভাগে ঝড়ের গতিবেগ একসময়ে পৌঁছয় ১৩৬ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। পরে গভীর রাতে তা বেড়ে ১৪৫ কিলোমিটার হয়ে সাগরদ্বীপ-সুন্দরবন পেরিয়ে ঢোকে বাংলাদেশে। এই প্রচণ্ড ঝড়ের মাঝে পড়েছে সুন্দরবনের ব-দ্বীপ অঞ্চল।





























































































































