রঞ্জন গগৈ : ৪৬তম প্রধান বিচারপতি। একের পর এক বিতর্কিত মামলার রায়ের সঙ্গে নাম জড়িয়ে। অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি চালু করা কিংবা অমিতাভ বচ্চনের আয়কর সংক্রান্ত মামলা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন। গত বছরের জানুয়ারি মাসে দিল্লিতে বেনোজিরভাবে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন চার বিচারপতি। প্রধান বিচারপতিসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ এনেছিলেন যে চার বিচারপতি তাদের মধ্যে অন্যতম রঞ্জন গগৈ। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগও এনেছেন এক মহিলা কর্মী।
ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় : ইলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল। আধার মামলার বেঞ্চের সদস্য। বেনজিরভাবে তিনি ঘোষণা করেছিলেন প্রতিটি তথ্যের সঙ্গে আধার যুক্ত হলে ব্যক্তির ব্যক্তিগত অধিকারে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা থেকে যায়। আধার নিয়ে বহু নেতিবাচক দিক তিনি তুলে ধরেছিলেন। আগামী দিনে তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হতে পারেন।
এস আব্দুল নজির : তাঁকে নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। কোনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি না হওয়া সত্ত্বেও তাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। বিতর্কিত তিন তালাক বেঞ্চের তিনি অন্যতম সদস্য ছিলেন। এই প্রথাকে তিনি সংবিধানবিরোধী বলতে চাননি। তাঁর যুক্তি ছিল ইসলামে যার উল্লেখ রয়েছে তাকে অসাংবিধানিক বলা যায় না।
শরদ অরবিন্দ বোবদে : প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের পর তাঁর চেয়ারে বসবেন। ছিলেন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, আধার মামলা এবং অযোধ্যা মামলার মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার বেঞ্চের সদস্য। এক সময় তিনি মহারাষ্ট্রের ল ইউনিভার্সিটি এবং নাগপুরের ল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলরের দায়িত্ব সামলেছেন।
অশোক ভূষণ : এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। পরে কেরল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি হন। সেখান থেকেই ওই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার পর অরণ্যের গাছ কাটা, দিল্লির আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা সহ নানা বেঞ্চের অন্যতম সদস্য ছিলেন।