তাঁর চলে যাওয়া সাহিত্য জগতে অপূরণীয় ক্ষতি। সাহিত্যিক নবনীত দেবসেনের প্রয়াণে এই প্রতিক্রিয়া সাহ্যিতিক মহল থেকে প্রশাসন সর্বত্র। ক্যানসারের যন্ত্রণা উপেক্ষা করে চলে যাওয়ার কয়েকদিন আগের দিন পর্যন্তও লিখেছেন তিনি। তাঁর এই প্রাণশক্তির কথা বলেছেন তাঁর বন্ধু থেকে আত্মীয় সবাই। নবনীতার ছোটকন্যা নন্দনা সেন জানান, তাঁর মা ভুগছিলেন অনেকদিনই। কিন্তু সেটাকে অতিক্রম করে এগিয়ে গিয়েছে।

নবনীতা দেবসেনকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে সস্ত্রীক রাজ্যপাল যান হিন্দুস্থান পার্কের বাড়িতে। তিনি জানান, বিশ্ব সাহিত্যে নবনীতার অবদান অনস্বীকার্য। নবনীতার দুই কন্যা অন্তরা ও নন্দনাকে জগদীপ ধনকড় বলেন,“মনে রেখ তোমাদের বড়দাদা রাজভবনে আছে। যে কোনও সমস্যা জানাতে কুণ্ঠাবোধ করো না”। তাঁর বাড়িতে যান কবি শঙ্খ ঘোষও।

কবি জয় গোস্বামী জানান, বহুমুখী লেখক ছিলেন নবনীতা দেবসেন। তাঁর চলে যাওয়া বাংলা সাহিত্যে অপূরণীয় ক্ষতি। অপূর্ব ভ্রমণ কাহিনির পাশাপাশি, রম্যরচনাতে অনবদ্য। কবিতাও লিখেছেন মন দিয়ে। তরুণ প্রজন্মকে বরাবর উৎসাহ দিয়েছেন নবনীতা।

নবনীতা তাঁর ভালো বন্ধু ছিলেন বলে জানান সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তাঁর লেখার ভীষণ ভক্ত ছিলেন তিনি। নবনীতার রসবোধও ছিল প্রবল। জীবনকে ব্যতিক্রমী দৃষ্টি দিয়ে দেখতেন তিনি। বন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শীর্ষেন্দু জানান, নবনীতার মতো প্রাণশক্তি অনেক পুরুষের মধ্যেও নেই।
আরও পড়ুন-কড়া নজরে ‘বুলবুল’-র গতিবিধি































































































































