বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বাংলাকে সোনার বাংলা বানানোর স্বপ্ন দেখছেন, ঠিক তখনই বিশ্বের দরবারে সেরার সম্মান পাচ্ছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই কিছুদিন আগের ঘটনা, গোটা শহর যখন পুজোর আনন্দে মেতে ছিল, ঠিক তখনই ৭,২৫০ কিলোমিটার দূরে ডেনমার্কের কোপেনহাগেনের বিশ্বমঞ্চে পুরস্কৃত হয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আর তাঁর এই সাফল্যের পর অনেক বিরোধী ও সমালোচকরাও ঘনিষ্ঠমহলে মেনে নিয়েছেন, এরকম একজন যোগ্য মেয়র ও মন্ত্রী থাকলে কলকাতা অচিরেই বিশ্বের দরবারে উন্নত শহরগুলির মধ্যে সেরার তালিকায় জায়গা করে নেবে। আর এখানেই তিনি অন্যদের থেকে আলাদা।
তবে শুধু মঞ্চে উঠে পুরস্কার নেওয়ার জন্যই নয়, ফিরহাদ হাকিম কোপেনহাগেনের সেই সি-৪০ ওয়ার্ল্ড মেয়র সামিটে দুনিয়ার সেরা শহরগুলোর মেয়রদের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা করেন জলবায়ুর বিষয়ে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর এই যুগে নিজের শহরের ভবিষ্যত প্রজন্মের বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলাই তাঁর উদ্দেশ্য।
অনেকেই হয়তো জানেন না, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ৯০টি শহরের মেয়রদের সম্মেলনে কলকাতার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন ফিরহাদ হাকিম সেখানে তাঁর বক্তব্যের জন্যে আলাদা সেশন রাখা হয়। সেই বক্তব্য মন দিয়ে শোনেন বিভিন্ন শহরের মেয়ররা। সেখানে তিনি রাস্তাঘাট, সৌন্দর্যায়ন নিয়ে সরকারের কাজকর্মের নানা প্রক্রিয়া, ভবিষ্যত চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন। এবং তাদের থেকেও বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করেন ফিরহাহাদ হাকিম। শহরে ফিরে তা বাস্তবায়িত করার জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠক করেছেন পুর প্রতিনিধিদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন – মেয়রের উদ্যোগে জলাভূমি ভরাট রুখতে নয়া দাওয়াই পুরসভার
শুধু কলকাতার মধ্যেই নিজের উন্নয়নমূলক কাজ বা চিন্তাধারাকে আটকে রাখতে চান না মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তা ছড়িয়ে দিতে চান গোটা রাজ্যে। মেয়রের পাশাপাশি তিনি রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মন্ত্রীও বটে, ফলে সে ক্ষেত্রেও তাঁর একটা দায়িত্ব থেকে যায়। আগামী ৫ নভেম্বর গোটা রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যানদের সঙ্গে তিনি উন্নয়নমূলক বিষয় নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, নগরোন্নয়ন ও পরিকাঠামোয় উন্নয়নের জন্যে কোপেনহাগেনের শুধু যে পরিকাঠামো উন্নয়ন তা নয়, সেইসঙ্গে গোটা শহরের যান চলাচলের গতি বাড়ানোর জন্যও বিশেষভাবে সম্মানিত হয়েছেন কলকাতার মেয়র। যা আসলে গোটা দেশের মুখই উজ্জ্বল করেছে বিশ্বমঞ্চে। এবং সেটা বিলক্ষণ জানে কেন্দ্রীয় সরকার।
গোটা দেশের মধ্যেই নিজের কাজে নজর করেছেন কলকাতার মেয়র। সেই কারণেই বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্য চরম সংঘাত থাকলেও কাজের নিরিখে একজন যোগ্য মন্ত্রী ও মেয়র বলেই ডেনমার্কের কোপেনহাগেনে তিন দিনের পরিবেশ সংক্রান্ত সভায় যোগ দেওয়ার অনুমতিও একমাত্র ফিরহাদ হাকিমকেই দিয়েছিল ভারত সরকার।
আরও পড়ুন – উত্তর-দক্ষিণের বেড়া ভেঙে ববি এখন আক্ষরিক কলকাতার মেয়র






























































































































