দোষীরা শাস্তি পাবে, শিক্ষক-পরিবারকে আশ্বাস মমতার

0
4

দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে নবান্নে আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেই কারণেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। শুক্রবার, নবান্ন থেকে বেরিয়ে জানালেন জিয়াগঞ্জে নিহত শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের কাছে তাঁরা কোনও ক্ষতিপূরণ দাবি করেননি বলেও জানান।

জিয়াগঞ্জে বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল ও ছেলে অঙ্গনের হত্যাকাণ্ডের ৭দিনের মাথায় ধরা পড়ে আততায়ী। তবে উৎপল বেহেরা খুনি কি না তা নিয়ে সংশয়ে নিহত শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা। একজন ছোটখাটো চেহারার লোকের পক্ষে মাত্র 5 মিনিটে তিনজন জেগে থাকা মানুষকে খুন করা সম্ভব কি না? সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। শুক্রবার, রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয় ভবানী ভবনে যান দুই পরিবারের সদস্যরা। সেখানে সিআইডি-র উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা যান নবান্নে।

আরও পড়ুন – বিতর্ক ও ভোটাভুটির পর যাদবপুরের ডিলিট-ডিএসসি তালিকা মেনে নিলেন রাজ্যপাল

দুই পরিবারের তিনজন করে মোট ছজন সদস্যকে পুলিশ এসকর্ট করে উপরে নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা নিহতদের পরিবারের সদস্যকে আশ্বস্ত করেন, প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পাবেই। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কেউ জড়িত থাকলে, তাকেও খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এরপরে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বন্ধুপ্রকাশ ও বিউটি পালের পরিবারের সদস্যরা। বেরিয়ে বন্ধুপ্রকাশের আত্মীয় রাজেশ ঘোষ জানান, পুলিশের ভূমিকায় তাঁরা অত্যন্ত খুশি। ঘটনার পর থেকেই প্রতি মুহূর্তে পুলিশ তাঁদের পরিবারের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে সামনাসামনি পুরো ঘটনা জানান পরিবারের সদস্যরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি মর্মাহত ও সমব্যথী। পাশাপাশি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুন – ১০দিন পরে জিয়াগঞ্জে ঘটনাস্থলে ফরেনসিক দল