প্রেসিডেন্ট সৌরভ, সচিব জয়? বোর্ড দখলে অমিত শাহের কৌশলের পরীক্ষা আজ মুম্বইতে

0
5

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আর জয় শাহ। এই দুটি নামই আলোচ্য বিষয়। কে হবেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ও সচিব? সেটাই আপাতত কয়েক মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। ভীষণভাবে এই দু’জনই আপাতত পৃথিবীর ধনী ক্রিকেট বোর্ডের সর্বোচ্চ দুটি পদের লড়াইয়ে। আজ, রবিবার মুম্বইতে সব রাজ্যের ক্রিকেট কর্তারা মিলিত হচ্ছেন। উদ্দেশ্য এ ব্যাপারে সহমতে আসা। সেইসঙ্গে মেয়াদ নিয়েও একটি সিদ্ধান্তে আসা। ২৪ অক্টোবর বোর্ডের নির্বাচন। কাল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ফলে ক্রিকেট বোর্ডের হাওয়া গরম।

প্রশ্ন জয় শাহ কে? গুজরাত ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা। তার চেয়েও বড় পরিচয় তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পুত্র। তাঁকেই বোর্ডের সর্বোচ্চ পদটি দিতে মরিয়া অমিত শাহ। সঙ্গে একটু ‘কিন্তু’ও রয়েছে। প্রশ্ন উঠে যাবে ক্ষমতা দখলে ছেলেকে ব্যবহার করা। জয়ের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কম সময়ে ব্যবসায়ে বিরাট টার্নওভারের অভিযোগ রয়েছে। সে নিয়ে মিডিয়ার টানাটানি আটকাতে তাই সৌরভ নামের লিজেন্ডকে সামনে রেখে বোর্ডের ক্ষমতা দখলে বিজেপি। জীবিত থাকাকালীন অরুণ জেটলিই ক্রিকেট বোর্ড নিয়ে দলে শেষ কথা বলতেন। এখন শেষ কথা অমিত শাহ। ভীষণভাবে রাজনীতি বোর্ডের অন্দরে।

সৌরভের সঙ্গে শনিবার দীর্ঘ কথা হয়েছে বোর্ড নিয়ন্ত্রণকারী বিজেপি নেতাদের। সৌরভের স্পষ্ট কথা, সদ্য তিনি দ্বিতীয়বার সিএবির প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। তাই বিসিসিআইয়ের সচিব অথবা প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়া অন্য কোনও পদের জন্য লড়াইয়ে নামতে রাজি নন, এবং সেটাও নিশ্চয়তা পাওয়ার পরেই। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সৌরভ প্রেসিডেন্ট, জয় সচিব। সৌরভ দেখবেন ক্রিকেট সংক্রান্ত বিষয়, আর জয় প্রশাসনিক। এর মাঝে লড়াইতে নিশ্চিতভাবে চলে আসতেন অনুরাগ ঠাকুর। কিন্তু কেন্দ্রের মন্ত্রী হওয়ায় স্বার্থ সঙ্ঘাতের নতুন তত্ত্বে তিনি রিংয়ের বাইরে। অনুরাগের অনুরাগ একটু বেশিই সৌরভের ওপর। যদিও তা প্রকাশ্যে আনার জো নেই। প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসন নিজের মেয়েকে তামিলনাড়ু ক্রিকেট বোর্ডের পদে বসিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছেন। তবে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা তাঁর নেই বললেই চলে। এই অবস্থায় সৌরভ-জয় জুটি অটোমেটিক চয়েজ হয়ে বসে রয়েছে।

সৌরভদের ক্ষেত্রে একটাই কিন্তু, বোর্ডের নয়া নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে দশ মাস পর তিন বছরের জন্য কুলিং পিরিয়ডে যেতে হবে। এই কম সময়ের জন্য কেন পদে বসানো হবে? যেখানে বিসিসিআইয়ের নিয়ম, প্রতি তিন বছর অন্তর বোর্ডের ভোট হবে, বদলাবে প্রশাসন। অমিত শাহরা এখন সে কথা ভাবতে নারাজ। ভারতের সেরা ক্রিকেটার, অধিনায়ক এবং ক্রিকেট প্রশাসককে সামনে রেখে ক্ষমতা দখল করতে চান। দশ মাস পরে না হয় কমিটিতে থাকা আর একজনকে সামনে নিয়ে আসবেন, নাকি এই কুলিং পিরিয়ডের নিয়মে শিথিলতা আসবে! এটাও এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। মনে হচ্ছে অনেক ঘটনা এখনও বাকি।