পুজোর পরেই বঙ্গ-বিজেপির নতুন কমিটি, সবুজ সংকেত শাহের

0
5

পুজোর পরেই বড় ধরনের রদবদল হতে চলেছে বঙ্গ-বিজেপিতে। বেশ কিছু নতুন মুখ দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসতে চলেছেন। এবং প্রতিটি নতুন মুখই সঙ্ঘ-পরিবার ঘনিষ্ঠ। সাধারন রাজনীতিতে পরিচিত মুখ না হলেও সংগঠনে এদের প্রভাব অসীম এবং মোদি বা শাহ ব্যক্তিগতভাবেও এদের চেনেন। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাউকেই নতুন দায়িত্বে আনা হচ্ছে না। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ গত পয়লা অক্টোবর কলকাতায় নতুন এই কমিটিকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। পুজো মিটলেই আনুষ্ঠানিক ঘোষনা।

সূত্রের খবর, বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি পদে যথারীতি থাকছেন সাংসদ তথা বর্তমান সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে সাংসদ হওয়ার পর তাঁর ব্যস্ততা শতগুন বেড়েছে। একুশের ভোটের মূল দায়িত্বেও তিনিই। রাজ্যজুড়ে ঢালাও প্রচারে বিজেপি’র মুখ জনপ্রিয় দিলীপ ঘোষই।ফলে তাঁকে ব্যস্ত থাকতে হবে নানা কাজে। তাই জাতীয় কমিটির ধাঁচে এ রাজ্যেও তৈরি করা হয়েছে কার্যকরী সভাপতির পদ।

দিলীপবাবুকে প্রচারের পূর্ণ দায়িত্বে রেখে সাংগঠনিক বিষয় দেখার জন্যই এই পদ তৈরি হয়েছে। সঙ্ঘ পরিবার তথা সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ জিষ্ণু বসু এই পদের দায়িত্ব পেতে চলেছেন। জিষ্ণু বসু শিক্ষিত, মার্জিত ও পরিশীলিত ব্যক্তিত্ব। কার্যকরী সভাপতির পদে জিষ্ণুবাবুকে আনতে চেয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। তাই মোহন ভাগবতের অত্যন্ত আস্থাভাজন জিষ্ণুবাবু সাংগঠনিক দিকটা দেখবেন।

পাশাপাশি জানা গিয়েছে, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পদেও উল্লেখযোগ্য রদবদল হচ্ছে। দলের রাজ্য কমিটির সাধারন সম্পাদক (সংগঠন)

সুব্রত চট্টোপাধ্যায় সরছেন। রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হচ্ছেন বিধান কর। নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী, তখন সঙ্ঘ ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ‘সেতুবন্ধের’ কাজটা করতেন এই বিধানবাবুই। ফলে, সঙ্ঘের পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদিরও চরম আস্থাভাজন তিনি। তাই আপাতত “জিষ্ণু-বিধান জুটি”-তেই ভরসা রাখছে বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবার। সূত্রের খবর, অমিত শাহ রাজ্য নেতাদের জানিয়ে গিয়েছেন, নতুন কমিটি পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়েই কাজ করবে। দলের কোনও অংশ নতুন কমিটির সঙ্গে অসহযোগিতা করলে, কঠিন পদক্ষেপ করা হবে।

ওদিকে দলের তরফে এ রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ফের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েই রাজ্যে রাখছে দিল্লি। একুশের বিধানসভা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিজয়বর্গীয় একই দায়িত্বে থাকছেন।

দলের যুব মোর্চা ও মহিলা মোর্চার বর্তমান কমিটিরও রদবদল হচ্ছে। এই দুই সংগঠনের দায়িত্বেও সঙ্ঘ-পরিবারের পছন্দের মুখই আসছেন। দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায়ের নাম নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি বলে জানা গিয়েছে। আলোচনায় না আনার কারন, অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের শুরুতেই CBI নারদ-তদন্তের পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট পেশ করতে চলেছে।ওই চার্জশিটে মুকুলের নাম থাকলে, এ যাত্রা বাদই থাকবেন তিনি। নাম না থাকলে নতুন করে বিবেচনা করা হবে।