দেখে ফেললাম পাসওয়ার্ড। এরকম একটা বিষয় নিয়ে সিনেমা করার কথা চিন্তা করতে ধক লাগে। কমলেশ্বর মুখার্জির সেই ধক আছে। সঙ্গে পেয়েছে পরমব্রত, আদৃত, রুক্মিনী, পাওলি এবং দেব। এ পুজোয় ব্লকবাস্টার কাস্টিং যাকে বলে। লোকেশন অসাধারণ। আ্যকশন দৃশ্য দেখলে গা শিউরে উঠবে। এবং ধাঁধা লাগানো গল্পের প্লট। যতটা জটিল ডার্ক ওয়েব ততটাই জটিল হয়ে উঠেছে গল্প। শুরুতেই দেব এর মুখ থেকে শোনা গেছে, “কে যে কখন কোনধারে, বোঝাই দায়”। সেই টেনশন কিন্তু ছবির শেষ পর্যন্ত। শুরুটা তো হাড় হিম করে দেওয়া এক অভিনেত্রী র গল্প, হঠাৎ তার ন্যুড ছবি ছড়িয়ে যাচ্ছে ওয়েব এ, তার ক্রেডিট কার্ড হ্যাক হয়ে গেছে, তার বয়ফ্রেন্ড এর সন্দেহ ব্রেকআপ ছবিকে নিয়ে চলে যায় অন্য উচ্চতায়। তারপর হাজির রোহিত দাসগুপ্ত । গল্প আমি বলবো না। কে কোন দিকে সেটা বললে তো খেল খতম। তবে পরম আর পাওলি অনেকদিন পর (সম্ভবত কালবেলার পর) জমিয়ে কাজ করলো, চোস্ত উর্দু শায়রিতে অন্য পরম। আদৃত অনেক অনেক পরিণত, লুক এ অভিনয়েও। পুরোন মেজাজে রুক্মিনী, হিস্টরিক অথচ ভালো মন্দের দ্বন্দ্বে লড়ে যাচ্ছে।

দেব অন্যদিকে অনেক কমপোজড, মাপা অভিনয় নিয়ে হাজির এবং আশ্চর্য একটাও উচ্চারণের গন্ডোগোল না নিয়েই।
মানানসই মিউজিক স্যাভির। ‘ট্রিপি লাগে’ তো শুনতে পাচ্ছি ডান্স ফ্লোরে।
কমলেশ্বর কে আবার ধন্যবাদ এরকম একটা বিষয় নিয়ে ছবি করার জন্য।






























































































































