নবজাগরণের ইতিহাস জানতে আসুন 95 পল্লির ‘জাগরণে’

0
2

70তম বর্ষে ‘জাগরণ’ এর পুজো একটি মাত্র জাতির ধর্মবিশ্বাস হিসাবেই আবদ্ধ নয়। এখানে দুর্গাপুজো হল শিল্পের উৎসব। তাই বিভিন্ন ধর্ম, ভাষার মানুষ এই বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন । বর্তমানে তা সাংস্কৃতিক চেতনার জন্ম দিয়েছে। সে বিষয়টিকেই  সাংস্কৃতিক জাগরণ বলে আখ্যা দিয়েছেন 95 পল্লির থিম শিল্পী প্রসূন ঘোষ।

তিনি বলেন, উনিশ শতকের প্রথম দিকে এক প্রকার নব জাগরণ হয়েছিল। এখন মানুষের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের চাহিদা অনেকটাই আজ পূর্ণ হয়েছে। তার পর আসে সংস্কৃতির চাহিদা। এখন মানুষের মধ্যে সেই সাংস্কৃতিক চাহিদা।
এই বছরের 95 পল্লির থিমে সেই নবজাগরণের সঙ্গে বর্তমান চাহিদাকে এক সূত্রে দেখানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে সেই সময়ের

সামাজিক জাগরণ আর বর্তমানের সাংস্কৃতিক জাগরণ।
শিল্পী বলেন, এই বারের 95 পল্লির মণ্ডপে একটি বিশেষত্ব হল গোটা মণ্ডপটাই থাকছে উন্মুক্ত। তার সঙ্গে গোটা মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে স্যান্ট কাস্টিং-এ। বালির ছাঁচে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। সঙ্গে রয়েছে প্রাকৃতিক উপকরণ ভাঙা ইট, কাঠ, কাপড়, শুকনো গোবর, পোড়া মাটির টালি ইত্যাদি।

প্রতিমার বিশেষত্ব হল, ঠাকুরের মধ্যে কেবল দুর্গা নয়, একই প্রতিমাকে দেখলে একই সঙ্গে দুর্গার মধ্যে কালী এবং কৃষ্ণকেও উপলব্ধি করতে পারবেন দর্শকরা। তবে কোনও আলাদাভাবে সেটি কিন্তু ফুটিয়ে তোলা হবে না। প্রচ্ছন্নভাবে এই দুই দেবতাকেও অনুভব করা যাবে।

আরও পড়ুন-মহালয়ার সাতদিন আগেই শারোদৎসবে মেতে ওঠে শেওড়াফুলি রাজবাড়ি