যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়র হেনস্থার ঘটনায় যারা অতি বামপন্থীদের সহনশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, সেই বিজেপিই বাধা দিল বাংলাদেশের সাংসদরে অনুষ্ঠানে। এনআরসি ইস্যুতে বাংলাদেশের রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে সোমবার উত্তেজনা ছড়াল মধ্যমগ্রামে। বাংলাদেশের সাংসদকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগ, আয়োজক সংগঠনেরই বিক্ষুব্ধ সদস্যরাই বাধা দেন। বিক্ষুব্ধরা সকলেই বিজেপির সমর্থক। মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলে, তাঁকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। পরে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
আরও পড়ুন – মার্কিন মুলুকে জননেতা গড়তে সেমিনার, উদ্যোগে বাঙালি মহিলারা
সোমবার, মধ্যমগ্রামের নজরুল মঞ্চে মাস্টারদা সূর্যসেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের সাংসদের। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই তাঁর উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সংগঠনের বেশ কিছু সদস্য। অভিযোগ, বিক্ষুব্ধরা সকলেই বিজেপি সমর্থক। কালো পতাকা নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ দেখান জনা পঞ্চাশেক বিজেপি নেতা-কর্মীও। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত হলেও, প্রধান অতিথি বাংলাদেশের সাংসদকে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয়। এই সময় আয়োজকদের মধ্যে কয়েকজন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষের শরণাপন্ন হন। বিধায়ক ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করলে, উল্টে রথীন ঘোষের উপরেই চড়াও হন তাঁরা। বারাসাতের এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশি নিরাপত্তায় অনুষ্ঠান মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয় ফজলে করিম চৌধুরীকে। নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় একঘণ্টা পরে পুলিশের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান শুরু হয়। রথীন ঘোষ জানান, অনুমতি নিয়ে আয়োজিত একটি সভায় বাংলাদেশের অতিথিকে হেনস্থা হতে হলে, সেটা দেশের অসম্মান। যে বিজেপি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগদানে বাধার পাওয়ার ঘটনাকে অসহিষ্ণুতা আখ্যা দেয়। তারাই কীভাবে বিদেশের অতিথিকে কালো পতাকা দেখিয়ে অনুষ্ঠানে যেতে বাধা দেয়? প্রশ্ন বিরোধীদের।
আরও পড়ুন – মঙ্গলে নয়, বুধবার হাইকোর্টে রাজীব মামলার শুনানি






























































































































