রাজীব কুমার-এর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ

0
2

আগাম জামিন পেলেন না রাজীব কুমার। শনিবার দীর্ঘ তিন ঘণ্টা শুনানির পর আলিপুর জেলা আদালতের বিচারপতি সুজয় সেনগুপ্ত সিবিআইয়ের আইনজীবিদের আর্জি মেনে তাঁকে এই মামলায় আগাম জামিন দিলেন না। ফলে রাজিবের গ্রেফতারির সম্ভাবনা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল।

এর আগে এদিন আলিপুর আদালতে রাজীব কুমারের আইনজীবী কে সি মিশ্র বিচারক সুজয় সেনগুপ্তকে বলেন, ADG CID রাজীব কুমার তদন্তে সহযোগিতা করেছেন না। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ইকোনমিকাল অফেন্সে আগাম জামিন হয় না। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর আইনজীবীরাই সব করছেন। সুতরাং, রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করা হোক। একইসঙ্গে একাধিক কেস হিস্টরি তুলে ধরা হয় সিবিআই-এর পক্ষ থেকে।

এরপর রাজীব কুমারের আইনজীবী দেবাশিস রায় জানান, তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা কুমার এই আবেদন করেছেন। এদিন রাজীবের আইনজীবী দেবাশিস রায় ব্যাখ্যা করে বলেন, 2014 সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কীভাবে সারদা মামলা এগিয়েছে। তাঁর সওয়াল, সিবিআইয়ের চার্জশিট এবং 6টি অতিরিক্ত চার্জশিটে কোথাও রাজীব কুমারকে অপরাধী বলে উল্লেখ করেনি। FIR-এ নাম নেই।

রাজীবের আইনজীবী আরও সওয়াল করেন, দেবযানীর মোবাইল, ল্যাপটপে নাকি প্রচুর তথ্য ছিল। সেটা কেন ফেরত দেওয়া হল, তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন করা হচ্ছে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনের এখনও 3টি ফোন পড়ে রয়েছে সেটা সিবিআই দেখছে না।

রাজীবের আইনজীবীদের সওয়াল শোনার পর বিচারক প্রশ্ন করেন, কটা নোটিশ পাঠানো হয়েছে? রাজীবের আইনজীবী বলেন, 2017 সালে 2টো, তারপর 5টা। কিন্তু এখন তো রোজই নোটিশ দিচ্ছে। এরপর বিচারক বলেন, এমন সময় নোটিশ পাঠানো হচ্ছে, তাতে সময় করে আসতে পারছেন না রাজীব কুমার, এটাই কি বোঝাতে চাইছেন? বিচারক সুজয় সেনগুপ্ত এরপর দু’পক্ষকে নোটিশগুলি আদালতকে দেখাতে বলেন।

রাজীবের আইনজীবী আরও বলেন, প্রভাবশালীদের মধ্যে শুরু মদন মিত্রকেই শুধু গ্রেফতার করেছে সিবিআই। রাজীবকে কুমির ছানার মতো ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ দিন রাজীব কুমারের তরফে স্পষ্ট করা হয়, লাল ডায়েরি সম্পর্কে শুধু মিডিয়াতেই শুনেছেন। দেবযানীর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। সুদীপ্ত সেনের কাছে যে ডায়েরি মিলেছে, সেটা জমা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে রাজীব কুমাররের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করলো আলিপুর জেলা আদালত।