প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন থেকেই আনন্দের ঢেউ দেখা যেতো গৌর দে লেন, স্যাকরাপাড়া লেন, দুর্গাপিথুরি লেনে। ওই এলাকায় আজ শ্মশানের স্তব্ধতা। মেট্রোর কাজে খণ্ডহর গোটা এলাকা। দোকান নেই, ভেঙ্গে পড়েছে বাড়ি, উৎখাত হয়েছেন বাসিন্দারা, স্বর্ণব্যবসায়ীরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে আতঙ্কিত। ওদিকে, দীর্ঘদিনের বিশ্বকর্মা পুজো বন্ধ করা যাচ্ছেনা।তাই এই যুদ্ধবিধস্ত বৌবাজারে কোনওমতে বিশ্বকর্মার আবাহন হচ্ছে এ বছর। করতে হয় বলেই পুজো হচ্ছে। স্বর্ণব্যবসায়ীরাই প্রশ্ন তুলেছেন, এ কোন বৌবাজারে বিশ্বকর্মা আসছেন? ফি বছর সাড়ম্বরে বিশ্বকর্মা পুজো হয় এই এলাকার একাধিক বাড়িতে, সোনার কারখানায়। এ বার তাঁদের মনে একরাশ অনিশ্চয়তা। বাড়িতে ধরছে ফাটল। ঘরছাড়ার আতঙ্ক মাথায় নিয়ে দেবদেবীর বন্দনা করা মুশকিল।
এই এলাকার অধিকাংশ বাড়ির বয়স 100-র বেশি। প্রায় সব ক’টি বাড়িতে পা রাখলেই নজরে আসবে চারিদিকে KMRCL-এর ঠেকনা দেওয়া আর ফাটল বাড়ছে কি না দেখার জন্য বসানো মিটার। সে সবকে সঙ্গী করেই এবার বিশ্বকর্মা আসছেন বৌবাজারে। ওদিকে আশেপাশের একাধিক বাড়ি খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মেট্রোসংস্থা। পুজোর কথা ভুলে বাড়ি ছাড়ার তোড়জোড় শুরু করছে বেশ কিছু পরিবার। বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির অফিসেও এবার খুব ছোট করেই বিশ্বকর্মা পুজো হচ্ছে। সোনার- বিশ্বকর্মার বসতিতেই এবার যেন ব্রাত্য বিশ্বকর্মা।





























































































































