রাজীব কুমারের পাশে আর নেই রাজ্য! নবান্নের তিনকর্তার বার্তা ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

0
1

রাজীব কুমারের পাশ থেকে কি রাজ্য সরকার শেষ পর্যন্ত সরে গিয়েছে ?

মঙ্গলবার আইনি মহলে এই আলোচনাই প্রাধান্য পেয়েছে। আলোচনার সূত্রপাত, রাজীব কুমারকে পাঠানো মুখ্যসচিব মলয় দে, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজি বীরেন্দ্র, এই তিনজনের তিনটি আলাদা নোটিস। তিনজনই আলাদা নোটিস পাঠিয়ে রাজীব কুমারকে CBI-এর সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দিন তিনেক আগে CBI-ও ঠিক এই একই নোটিস রাজীব কুমারের পার্ক স্ট্রিটের বাড়ি গিয়ে দিয়ে এসেছিল। রাজীবের হাজিরা-ইস্যুতে CBI এবং রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কার্যত একই। অথচ এর আগের বার একই ইস্যুতে দ্বিমত ছিলো CBI ও সরকার।

রাজীবকে নোটিস দেওয়ার পরেও তিনি না-আসায় রবিবার ও সোমবার দু’দফায় CBI নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজি-কে চিঠি দিয়ে দ্রুত রাজীব কুমারকে হাজির করাতে বলে।

এতদূর পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিলো। CBI পর্যন্ত আশঙ্কা করেছিলো, রাজ্য সরকার এই চিঠিকে গুরুত্বই দেবেনা। উল্টে CBI-কেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে নানা অজুহাত দেখিয়ে।
কিন্তু সর্বস্তরকে চমকে দিয়ে CBI সঙ্গে ‘সহযোগিতার’ বার্তা দেয় রাজ্য সরকার।
অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সোমবার দুপুরের মধ্যেই রাজীব কুমারের বাড়িতে নোটিস পাঠিয়ে দেন তিন প্রশাসনিক কর্তা, যে নোটিসে রাজ্য রাজীবকে নির্দেশ দেয় CBI-এর জেরার সামনে দাঁড়াতে।
রাজীব কুমার এককভাবে যে CBI-এর বিরুদ্ধে যে পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, তার দায় নিতে কার্যত অস্বীকার করেছে ওই তিন কর্তা। তাছাড়া
বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘অন্য রকম’ কিছু করা যে অসম্ভব, নবান্ন সেটাই জানিয়ে দিয়েছে রাজীবকে।

মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজি যে ভাষায় রাজীব কুমারকে CBI-এর জেরার মুখে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট হয়েছে, সরকার আর রাজীবের সঙ্গে নেই। তাঁর কৃতকর্মের দায় একান্তই ব্যক্তিগত। সরকার যেহেতু তাঁকে ধরে নিয়ে CBI -এর হাতে দিতে পারেনা, সেই হেতুই নোটিস দেওয়া হয়েছে রাজীবকে। এবং একইসঙ্গে CBI-কেও প্রশাসনের তরফে এই নোটিস জারির কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
নবান্নের খবর, রাজীবের ছুটির আবেদনে ছুটির সময় কোথায় থাকবেন তার উল্লেখ নেই। সেই হিসেবে নবান্নের ধারণা, রাজীব কুমার কলকাতাতেই আছেন গা- ঢাকা দিয়ে। সেই কারণে রাজ্যের তিন শীর্ষকর্তার নোটিসও রাজীবের সরকারি বাড়িতেই পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যের এই ভূমিকায় নিশ্চিতভাবেই বিপদ বাড়লো রাজীব কুমারের।