স্বার্থ-সংঘাত ইস্যুতে বিসিসিআই-এর এথিক্স অফিসারের তরফে প্রাক্তন জাতীয় অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে পাঠানো নির্দেশ নিয়ে জলঘোলা চলছেই। বিচারপতি ডিকে জৈনের পাঠানো চিঠি পুরনো, সাফ বলে দিচ্ছেন সৌরভ। অন্যদিকে এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা চিঠিটি ফাঁস করেছে। তাদের প্রচার অনুযায়ী, বিচারপতি জৈন সম্প্রতি চিঠিটি ভারতীয় বোর্ডকে দিয়েছেন এবং সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সৌরভ যেন একসঙ্গে দু’টি পদে না থাকেন।
সৌরভের কথায় যুক্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন – এবার টেস্টেও ওপেন করুক রোহিত, পরামর্শ সৌরভের
প্রথমত, সৌরভের মতে, ‘প্রিন্স অব ক্যালকাটা’ এই মুহূর্তে ‘সিএবি সভাপতি’ হিসেবে একটিমাত্র পদেই আসীন। তাঁর সঙ্গে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস দলটির চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে আইপিএল-এর প্রেক্ষিতে স্বার্থ-সংঘাতের কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না। গত মে মাসেই এই চুক্তি শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে আগামী বছর ফের দিল্লির ডাগআউটে মহারাজ বসবেন কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। দিল্লির দলটি নিশ্চিত ভাবেই সৌরভকে চাইবে। ততদিনে বোর্ডেও হয়তো আমূল বদল ঘটবে। কারণ আগামী মাসেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে নির্বাচন হয়ে যাবে। সিওএ-র শাসনকাল হয়তো শেষ করে ক্রিকেট কর্তারাই ফের ক্ষমতায় আসবেন। তখন এই স্বার্থ-সংঘাত ইস্যু কোথায় গিয়ে পৌঁছবে এবং কতটা পাত্তা দেওয়া হবে, তা তখনই জানা যাবে।
দ্বিতীয়ত, বোর্ডের ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি থেকে সৌরভ আদৌ পদত্যাগ করেছেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে সৌরভর সাফ কথা, “আমি যদি ওই পদ থেকে পদত্যাগ না করি, তাহলে নতুন কমিটি তৈরি হল কীভাবে ? নতুন কোচ বাছাই করলেন নবাগতরা। তা-ই বা কী ভাবে সম্ভব হল ?” সৌরভের এই যুক্তিকে সমর্থন করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
ফলে বোর্ডের এথিক্স অফিসার বিচারপতি ডি কে জৈনের চিঠি নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ক্রিকেটমহলের একাংশ বলছেন, চিঠিটি পুরনোই হবে। এতকিছু জানার পরেও বিচারপতি জৈন কি এখন এই চিঠি পাঠিয়ে বসবেন!































































































































