আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরেই মা আসবেন মর্তে। তাই পাড়ায় পাড়ায় বা বলা ভাল মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আর তার মধ্যেই আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা কর্পোরেশনে ‘কলকাতাশ্রী’-র ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। আর ‘কলকাতাশ্রী’-র উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার।
এদিন শাল ও পুস্পস্তবক দিয়ে সৌরভকে সংবভর্ধনা দেওয়া হয়। একইভাবে সম্মান জানানো হয় মহানাগরিক ও মেয়র পারিষদকেও। এই উদ্বোধনের পর থেকে কলকাতার সমস্ত পুজো কমিটিগুলি ‘কলকাতাশ্রী;’-তে অংশগ্রহণ করার জন্য নিজেদের নাম নথিভূক্ত করতে পারবে। তবে মেয়র পারিষদ দেবাশিষ কুমার এদিন এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে, ‘কলকাতাশ্রী’-তে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পুজো অর্থাৎ চেতলা অগ্রণী, দেবাশিষ কুয়ারের পুজো অর্থাৎ ত্রিধারা সম্মেলনী এবং এমআইসি-র পুজোগুলি অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

আরও পড়ুন – শহরে এসে ধোনি প্রেমের কথা জানালেন পন্থ, বললেন প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধেও লড়ার জন্য প্রস্তুত
‘কলকাতাশ্রী’-র উদ্বোধনে এসে মহারাজ একেবারে আপ্লুত। সৌরভ বলেন, ‘দুর্গা পুজো মানেই একটা আলাদা সেন্টিমেট, আলাদা আবেগ। শরৎকাল এলেই মনটা পুজো পুজো করে। ‘কলকাতাশ্রী’ পুজোর এক বড় সম্মান। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আমার পঁচিশ বছরের পুরনো সম্পর্ক। ববিদা আমায় ডেকেছে আজ এখানে, সেটা আমার জন্য বিরাট ব্যাপার। মুম্বইয়ে আমার যেসব বন্ধু আছে, যাদের সঙ্গে আমি ক্রিকেট খেলতাম, তাদের আমি সব সময় বলি, তোমরা গণপতি নিয়ে এত মাতামাতি কর, তোমর একবার দুর্গা পুজোতে কলকাতায় এসো, তাহলে দেখবে কত আবেগ এখানে। গোটা শহরের চেহারাটাই বদলে যায়। টিভি দেখে এই সেন্টিমেন্ট বোঝা যাবে না। কলকাতায় পায়ে হেঁটে দুর্গা পুজো না দেখলে এই আবেগ বোঝা সম্ভব নয়। তাই আমি বলব, প্রত্যেক বছরের মতো এবারও সকলের পুজো ভাল কাটুক। সকলকে আমার আগাম শারদ শুভেচ্ছা।’
এদিন ‘কলকাতাশ্রী’-র মঞ্চ থেকে ঢাক বাজাতেও দেখা যায় ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’-কে। সৌরভের ঢাকের তালে যেন এদিন থেকেই মহানগরের আকাশে-বাতাসে পুজোর গন্ধ মিশে গিয়েছে।
আরও পড়ুন – এবার টেস্টেও ওপেন করুক রোহিত, পরামর্শ সৌরভের






























































































































