শুরু হয়ে গিয়েছে 368তম কলকাতা ডার্বি। ইস্টবেঙ্গল সমর্থক হোক বা মোহনবাগান সকলের আজ একটাই ডেস্টিনেশন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণ। ডার্বি নিয়ে বাংলার ফুটবলে ইতিহাস কম নেই। চিরাচরিত ঘটি-বাঙালের এই লড়াই আজও বিদ্যমান। যদিও বাঙালি ফুটবলারের অভাবে বাঙালি কোচের অভাবে বাঙালিয়ানায় একটু ভাঁটা পড়েছে বটে, তবুও ডার্বি জ্বরে কাঁপছে গোটা শহর।
এমনই অসংখ্য ডার্বি খেলেছেন বাংলার প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য। পরবর্তীকালে তাঁকে মোহনবাগানের কোচের দায়িত্ব নিতেও দেখা গিয়েছে। যদিও চলতি মরশুমে মহামেডানের হয়ে কোচের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে ডুরান্ড কাপের ব্যর্থতার ফলে কোচের পদ থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে সুব্রত ভট্টাচার্যকে। ডার্বি সংক্রান্ত কথা বলতে গিয়ে ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’-কে একান্তে এই বিষয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন সুব্রত।
আরও পড়ুন-EXCLUSIVE: সুব্রত ভট্টাচার্যের কথায় উঠে এল ডার্বি নিয়ে আবেগের অভাব
তিনি বলেন, বাংলার দুই প্রধান দলেই এখন স্প্যানিশ কোচ। বাঙালি কোচেরা যেন কিছুই পারে না। বিদেশি কোচগুলো ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে কতটা জানে? এর জন্য আইএফএ-র ম্যানেজমেন্টকেও আমি কিছুটা দায়ী করব। এই যে মাত্র দুটো ম্যাচ ড্র হয়েছিল মহামেডানের, হারেনি ত্যো, তাতেই আমাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হল। এর জন্য কি কেউ আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে? আমাকে নিয়ে কেউ একটা কলম লিখেছে? আসলে বাংলার ফুটবল নিজের ভাবমূর্তি বদলে ফেলেছে। বাংলার ফুটবলের জন্য যে বাঙালিয়ানা প্রয়োজন, তা আজ আর নেই। বিদেশীদের ওপর বেশি আস্থা রাখা হয়েছে। তা সে ফুটবলার হোক বা কোচ। সব ক্ষেত্রেই বুদেশিয়ানা ভরপুর। সাংবাদিকরা এখন আমাদের মত বাংলার ফুটবল যারা বয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম, তাদের ভুলে সামনে বিদেশিয়ানাকে তুলে ধরছে। এভাবে আসলে বাংলার ফুটবলের সার্বিক ঐতিহ্য নষ্ট হচ্ছে। বাঙালি ফুটবলার ফিরিয়ে আনা হোক। তা না হলে বাংলার ফুটবল নিজের অস্তিত্ব হারাবে, আর বলার অপেক্ষা রাখে না।’ এভাবেই নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রাক্তন বাগান তারকা।
আরও পড়ুন-রবিবাসরীয় ডার্বি দেখবে স্প্যানিশ ডুয়েল, পরিসংখ্যান বলছে এগিয়ে মশাল বাহিনী






























































































































