শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কান্ডকারখানায় বেজায় বিরক্ত রাজ্য বিজেপির বড় অংশ। মাত্র দুসপ্তাহেই তাঁদের বায়নাক্কা সামলাতে জেরবার বিজেপি নেতারা। এদের মধ্যে অনেকেই বলছেন, শোভন-সখী বৈশাখী তো এমন ভাব দেখাচ্ছেন যেন তাঁরা বিজেপিতে এসে কৃতার্থ করেছেন। এক বিজেপি নেতা বলেছেন, তৃণমূলে সমস্যায় পড়ে দল ছেড়েছেন, বিজেপিকে ভালবেসে নয়। তাও আবার ব্যক্তিগত ঝামেলার জন্য, এর মধ্যে আদর্শের জায়গা কোথায়? লোকসভায় দেশে ও রাজ্যে বিজেপির দুর্দান্ত ফল দেখেই তারা ভেবেচিন্তে দল বদলেছেন। অথচ দলে ঢোকার পর থেকেই সিরিয়াস রাজনৈতিক আলোচনার বদলে অরাজনৈতিক কথাবার্তা আর নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রচারেই তাঁরা বেশি সময় দিয়েছেন।দলের বক্তব্য প্রচারের চেয়েও যেভাবে মিডিয়ায় শোভনবাবুর পারিবারিক সমস্যা ও সম্পর্ক নিয়ে তাঁরা কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন তা হাস্যকর পর্যায়ে গেছে এবং বিজেপির ভাবমূর্তিরও ক্ষতি হচ্ছে। বিজেপির কেউ কেউ তো এটাও বলছেন, দলে দুজনেই সদ্য ঢুকে যেভাবে কাকে নেওয়া হবে না নেওয়া হবে বলে মতামত দিচ্ছেন তা মানা যায় না। এই ইঙ্গিতটা অবশ্যই দেবশ্রী রায়ের ইস্যুতে। শোভন-বৈশাখীর আচরণে বিরক্ত হয়ে রাজ্য বিজেপির অনেকেই এখনই দেবশ্রী রায়কে নেওয়ার পক্ষে। সম্বর্ধনা ইস্যুতে যেভাবে বৈশাখীর হয়ে শোভন দিল্লিতে নালিশ করেন তাও রাজ্য বিজেপির পক্ষে অপমানজনক। বলা হচ্ছে, সম্মান চাই সম্মান চাই বলে দাবি জানালেই সম্মান পাওয়া যায় না। কাজের মধ্যে দিয়ে সম্মান আদায় করতে হয়। শোভনবাবুর রাজনৈতিক পরিচিতি আছে, কিন্তু বৈশাখী কে? তিনি তো অধ্যাপিকা হিসাবেও তত পরিচিত নন। গত কয়েক মাস ধরে বৈশাখীকে নিয়ে যা আলোচনা তা হয়েছে শোভনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সূত্রে! তার উপর রাজনীতিতেও নতুন। এমন একজন বিজেপিতে
সম্বর্ধনার দাবিতে শুরু থেকেই মিডিয়ায় যেসব কথা বলে চলেছেন তা বিজেপির মত তথাকথিত অনুশাসনকেন্দ্রিক দলের পক্ষে ভাল বিজ্ঞাপন নয়। এর উপর নারদ ঘুষকান্ডের সূত্রে শোভনবাবুর নাম নিয়ে বারবার আলোচনা হলে কী হবে তা নিয়েও অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.






























































































































